সরকারবিরোধী আন্দোলনে সেপ্টেম্বর থেকে টানা
কর্মসূচিতে যাচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। পহেলা সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবাষির্কী পালনের পর থেকে ছোট ছোট
কর্মসূচি দিয়ে সামনে এগুতে চাইছে দলটি।
গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকায় বেশ কয়েকটি পথসভা করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে ঢাকায় মহাসমাবেশ
করে সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়া হবে।
এর মধ্যে এ মাসে কিছু কর্মসূচি পালন করবে
বিএনপি। আগামী ১৬ আগস্ট শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গাজায় ইসরায়েলি
আগ্রাসনের প্রতিবাদে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন। এ ছাড়া আগামী ১৯ আগস্ট জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা,
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি
পালন করা হবে।
বৈঠকে উপস্থিত বিএনপির এক স্থায়ী কমিটির সদস্য
দ্য রিপোর্টকে বলেন, বৈঠকে আমরা বেশ কিছু বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত
নিয়েছি। আমাদের কিছু কর্মসূচি আছে, এগুলা পরে ঘোষণা করা
হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ দল। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কোনো সন্ত্রাসে বিশ্বাস
করি না। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হলে হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে
যেতে বাধ্য হব।
এর আগে, গুলশানে রবিবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক চলাকালে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল ইসলাম
সম্প্রচার নীতিমালা, গাজায় ইসরায়েলী আগ্রাসন বন্ধের দাবি,
তোবা গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও বোনাসের দাবি,
দলের স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে
‘অন্যায়ভাবে’ আটকের প্রতিবাদ ও জামিনের
দাবি তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের আরও কিছু সিদ্ধান্ত আছে তা পরে জানানো হবে।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন ড. আর এ গণি, ব্যারিস্টার মওদুদ
আহমদ, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার,
বেগম সারোয়ারি রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার
রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান
ও নজরুল ইসলাম খান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন